চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেলেও জনগণের আস্থা অর্জনে ঘাটতি দেখছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি মানুষের আস্থা অর্জন করে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী গণভিত্তিসম্পন্ন দল হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন।
সোমবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সাবেক মেয়র নাছির এসব কথা বলেন।
সভায় নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফাই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার রূপকল্প। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। ছয় দফা বঙ্গবন্ধু কেন ঘোষণা করেছিলেন, তার প্রেক্ষাপট কী এবং কেন— তাও জানতে হবে। তা না হলে আদর্শিক বিশ্বাসের জায়গাটা দুর্বল হয়ে যাবে। অথচ আমাদের অনেক বড় নেতার মধ্যে এই বিষয়ে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ বছরে দেশকে অনেক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করেছেন। কিন্তু সে তুলনায় আমরা জনগণের আস্থা অর্জনের উচ্চতায় পৌঁছাতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা এবং এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে সকলের মন জয় করতে হবে। তাহলেই দলের গণভিত্তি শক্তিশালী হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ জুন চট্টগ্রামে কি ঘটেছিল, সেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ওইদিন সকালে খাতুনগঞ্জে একটি মিছিল থেকে এম এ আজিজকে মুসলিম লীগের নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর গুণ্ডারা হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। বিকেলে জহুর আহমদ চৌধুরী লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন, এম এ আজিজের কিছু হলে চট্টগ্রামে আগুন জ্বলবে। সেদিন মানিক চৌধুরীর মা যশোদা বালা ফকা চৌধুরীর গুণ্ডাদের গলার হার ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন— দোহাই তোমাদের, আজিজকে মেরোনা। সেদিন সোনার হার পেয়ে গুণ্ডারা আজিজকে হত্যা করেনি। এই ইতিহাস অনেকেই জানেন না।’
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফউদ্দিন খালেদ বাহার ও নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।