‘বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহারে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে’
৮ জুন ২০২১ ২২:৩৫
ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে গ্রাহকদের আরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়াও বর্তমানে মাথাপিছু যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা রয়েছে তা আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ জুন) ‘ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ের উপকারী দিক ও প্রক্রিয়াগুলো গ্রাহক ও জনগণকে অবহিত করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপি প্রতি ব্যবহৃত প্রাথমিক জ্বালানির ২০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহারে স্রেডা কাজ করছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রাদি ব্যবহার করা আবশ্যক।
‘ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক এই কর্মশালায় স্রেডাতে পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত এনার্জি এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনর্জারভেশন প্রমোটিং ফিন্যান্সিং প্রজেক্টের টিম লিডার কনসালটেন্ট ইউসি হিকোকাতো ‘ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ জিডিপি প্রতি জ্বালানি ইন্টেন্সিটি কমেছে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়। তিনি ন্যাশনাল এনার্জি ব্যালেন্স তৈরিতে সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা হতে তথ্য প্রদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রেলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিত কর্মকার বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ