‘ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বাড়ালে উন্নয়নে ঋণের প্রয়োজন হবে না’
৯ জুন ২০২১ ১৬:১৫
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতায়ন ও সক্ষমতা বাড়ালে এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলে উন্নয়নের জন্য বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হবে না।
বুধবার (৯ জুন) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মিলনায়তনে আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিরীক্ষার জন্য নিয়োজিত অডিটরদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে ক্ষমতায়ন করে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার আওতায় আনতে পারি এবং আয়বর্ধক হিসেবে গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীলতার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে দেশের উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ/প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে না।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুট লেভেলে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির পরিধি অনেক বেশি এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে তাদের সংযোগ থাকে। তাই যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক, দুঃসময় ও আপদে-বিপদে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পাশে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ।
পাশের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে জাতি যত উন্নত-সমৃদ্ধ হবে সে দেশের নাগরিকরাও তত উন্নত হবে। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে যদি সম্পদে রূপান্তর করা যায় এবং আমরা যদি আমাদের উপর অর্পিত স্ব স্ব দায়িত্ব দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পালন করি তাহলে দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত সকল অডিটরদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা মাঠে এই দায়িত্ব পালন করবেন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কোনো সুপারিশ করলে সে সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে পরবর্তীতে নীতিমালা প্রণয়নের সময় সংযোজন করা হবে ।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে অডিট করার মাধ্যমে যেমন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আসবে তেমনিভাবে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমাজে অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ