পাস করেও নিয়োগ পাচ্ছেন না ২ হাজার ১৫৫ শিক্ষক
৯ জুন ২০২১ ২০:০৭
ঢাকা: নিয়োগ পরীক্ষার সবগুলো ধাপ পাস করেও কাজে যোগ দিতে পারছেন না দুই হাজার ১৫৫ জন শিক্ষক। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বাছাই হয়ে গত পাঁচ মাসেও তারা কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি।
এদের চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। এরপর তাদের নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও সেটি আটকে আছে স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তিন মাস আগে তাদের মধ্যে কারও কারও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বাছাইকৃতদের যাচাই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পিএসসির তালিকাভুক্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হলে তাদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের কারণে তাদের তথ্য যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি শেষ করা যাচ্ছে না। তবে কাজটি দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের নিয়োগ নিয়ে তেমন জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও জানান মাউশির ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশে ৩১১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। ২০১১ সালে শেষবারের মতো ওই স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল।
পরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিসিএস নন-ক্যাডার পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনেক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তবে বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পর্যাপ্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ছাড়া বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা থেকে আসা বেশিরভাগ শিক্ষকই শেষ পর্যন্ত অন্য চাকরিতে চলে যান। ফলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, পিএসসি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছিল, এই শিক্ষকেরা সেখান থেকেই নিয়োগ পাওয়া। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৫৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করে পিএসসি।
সারাবাংলা/টিএস/একে
নন-ক্যাডার চাকরি পিএসসি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ সরকারি কর্মকমিশন