শুল্ক কমানোয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে বারভিডা
৯ জুন ২০২১ ২১:৪৬
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গতি সঞ্চার, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে উজ্জীবিত রাখতে যেসব সহায়তা প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বুধবার (৯ জুন) বারভিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এ কথা বলা হয়। সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক, সাধাণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড কার ও জিপ (১৮০১ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত) আমদানিতে শুল্ক পুণর্বিন্যাস বা হ্রাস করায় বারভিডা প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে। বারভিডার প্রস্তাবকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নসিমন, লেগুনা ইত্যাদি অনিরাপদ যান চলাচল নিরুৎসাহিত করে গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাসকে স্বীকৃতি দেয়ায় বারভিডা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়। তবে গণপরিবহন হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ১০-১৫ আসন সেগমেন্টের মাইক্রোবাস (এইচ এস কোড ৮৭.০২), যা নগর ও গ্রামীণ জীবনে বিশেষ প্রভাব রাখছে তা আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সম্পুর্ণ প্রত্যাহারের জন্য বারভিডার আবেদনটি গৃহীত না হওয়ায় তা প্রত্যাহারের জন্য বারভিডা সরকারের কাছে আহ্বান।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে তারা যে ৪৫ শতাংশ অবচয় সুবিধা এবং বছরভিত্তিক অবচয় সুবিধা চেয়েছিলেন তা প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সুবিধাটি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটকে উদ্যোক্তা, শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব উল্লেখ করে বারভিডা বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভ্যাকসিনেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ বেশ ইতিবাচক। দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া জনগোষ্ঠী এবং নতুন দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আকার ও আওতা বাড়ানো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কর ছাড়সহ যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
কৃষিখাতে প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষিযন্ত্র আমদানিতে অগ্রিম কর এবং উৎপাদনে ভ্যাট তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম