কুষ্টিয়া: মিরপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে পলি খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী আবু বক্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামি আবু বক্করের বাবা আইয়ুব আলী এবং মা আকলিমা খাতুন পলাতক।
জানা গেছে, নির্যাতনের পর ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে মারা যান পলি খাতুন।
পলির ভাই আকতারুজ্জামান বাবু জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে তার ছোট বোন পলি খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আবু বক্করের ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে পলির ওপর নির্যাতন চালাতো আবু বক্কর এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এই কথা জানার পর বোনের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় বক্করের চাহিদা মতো নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অনেক কিছুই দেয় পলির ভাই বাবু।
তিনি জানান, এরপরও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। ২ জুন রাতে মদ্যপ অবস্থায় পলিকে ঘরের মধ্যে বেঁধে রাতভর দফায় দফায় হাতুড়ি এবং শাবল দিয়ে নির্মমভাবে পেটাতে থাকে বক্কর ও তার বাবা-মা। নির্যাতনের একপর্যায়ে পলির মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে গুরুতর আহত হলে তারা পলিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে যায়। সকালে খবর পেয়ে পলির ভাই আকতারুজ্জামান বাবু হাসপাতালে গেলে তাকে দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলি মারা যান।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, এই ঘটনায় নিহত পলির ভাই আকতারুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে পলির স্বামী আবু বক্কর, বক্করের বাবা আইয়ুব আলী মা আকলিমা খাতুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।