‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে’
১২ জুন ২০২১ ১৮:৪৬
ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুন) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বাজেট ২০২১-২২ বাজেট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘শুধুমাত্র ঢাকা শহরে ৪৬% বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহার সুষম করতে হলে দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত শিল্পায়ন করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট স্থানে শিল্প-কারখানা স্থাপিত হলে সিস্টেম লস কমবে।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসছে। বাংলাদেশও জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পর্যালোচনা করছে। আগামীতে গ্যাস বা বিদ্যুৎ আমদানিতে অপরচুনিটি কস্ট খোঁজা হবে।’
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। তিনি তার উপস্থাপনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অর্জন, প্রবৃদ্ধি, পরিকল্পনা ও অর্থায়ন- এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। প্রাথমিক জ্বালানির সহজ লভ্যতা, নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, ভূমির প্রাপ্যতা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সক্ষমতার সদ্ব্যবহার, অফ-গ্রিড অঞ্চলে বিদ্যুতায়ন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনার অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে তার উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন।
২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (নিজস্ব অর্থায়নসহ) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিতরণ সংশ্লিষ্ট ৩১টি, সঞ্চালন সংশ্লিষ্ট ১৮টি, উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ১৭টি, কারিগরি ৭টি ও নিজস্ব অর্থায়নে দুটি প্রকল্পের অনুকূলে এই খরচ ধরা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২৮টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ২ হাজার ৮৫১ কোটি ৪৭ লাখটাকা (নিজস্ব অর্থায়নসহ) বরাদ্দ রয়েছে।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম, এনবিআর’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুস সালেক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম