Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উপহারের ভ্যাকসিন আনতে চীনে যাচ্ছে ২ বিমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ জুন ২০২১ ১৯:০৮ | আপডেট: ১২ জুন ২০২১ ২০:৫৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: চীনের উপহার করোনাভাইরাসের ৬ লাখ ভ্যাকসিন আনতে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে দুইটি পরিবহন বিমান। চীন থেকে সিনোফার্মের তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়ে তারা দেশে ফিরবে।

শনিবার (১২ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুইটি ‘সি ১৩০জে’ পরিবহন বিমান করোনাভাইরাসের ৬ লাখ ভ্যাকসিন আনার জন্য চীনের উদ্দেশে আজ (শনিবার) রাতে ঢাকা ত্যাগ করবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ৬ লাখ ভ্যাকসিন নিয়ে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান দুইটি আগামীকাল রোববার (১৩ জুন) দেশে ফিরবে।

এর আগে, গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দেয় চীন। ওই দিন ভোরে চীনা ভ্যাকসিনের চালান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এই ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে।

বিজ্ঞাপন

৯ দিন পর ২১ মে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং ই’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের। ওই সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দেবে চীন। সেই উপহারের ভ্যাকসিন আনতেই চীনে যাচ্ছে বিমান বাহিনীর দুইটি বিমান।

এর আগে, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনার জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ছয় মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিরাম ইনস্টিটিউট জানুয়ারি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে। ভারত সরকার এর মধ্য ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। এসব ভ্যাকসিন দিয়েই দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করে সরকার।

এরপর সিরাম ইনস্টিটিউট প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিতে না পারলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের মজুত শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের একডোজ নেওয়ার পর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে সরকার ভ্যাকসিনের জন্য চীন ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকেও একে একে চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি’র কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ফাইজারের একলাখ ভ্যাকসিন এসেছে দেশে। চীনের সিনোফার্মের ৫ লাখ ভ্যাকসিন আসার পর এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগও শুরু হয়েছে। সরকার আশা করছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আরও ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির খবর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সারাবাংলা/টিআর

৬ লাখ ভ্যাকসিন উপহারের ভ্যাকসিন চীনের ভ্যাকসিন টপ নিউজ বিমান বাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর