জেলখানায় পরিচয়ের পর দলবেঁধে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬
১৩ জুন ২০২১ ১৫:১৩
মানিকগঞ্জ: সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতির ঘটনায় ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন, এক রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল, সোনা-রুপার জুয়েলারি, নগদ টাকা, ফ্রিজসহ বিভিন্ন রকমের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুন) গ্রেফতার ডাকাতদের নিয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।
এদের মধ্যে, ডাকাত সর্দার কারুন মিয়া ওরফে শমসের মিয়ার (৪৭) বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ১০টি মামলা চলমান রয়েছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও ২-৪টি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতার ছয় ডাকাতের বাড়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে হলেও তাদের পরিচয় হয় দেশের বিভিন্ন জেলা কারাগারে। জেলে থাকাকালীন তাদের নিবিড় বন্ধুত্বের সুবাদে বড় ধরনের ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তারই অংশই হিসেবে, ওই ডাকাতদল ২ জুন ও ৮ জুন রাতে সাটুরিয়া উপজেলা তিল্লী ব্রীজ এলাকায় রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে ডাকাতি করে। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় রাজ্জাক নামের স্থানীয় এক ভ্যানচালককে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে তারা। আহত অবস্থায় সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজ্জাক।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ডাকাতির ঘটনার অভিযান চালিয়ে প্রথমে ডাকাত সর্দার কারুন এবং পরে পৃথক অভিযানে বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চেচুরিয়া এলাকার মৃত মোহম্মদ আলীর ছেলে কারুন মিয়া ওরফে শমসের মিয়া (৪৭)। অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ১০টি মামলা চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মামলায় কারাগারে থাকা সময়ে বন্ধুত্ব হয় কারাগারে আগত অপর ৫ ডাকাতের সঙ্গে।
এরপর জামিনে বের হয়ে যোগাযোগ করে দেখা সাক্ষাৎ করে জামিনে থাকা অপর ডাকাতদের সঙ্গে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতি করে বেড়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সর্বশেষ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রীজ এলাকায় দলবেঁধে ডাকাতি করে তারা।
গ্রেফতার হওয়া অপর ডাকাতদের মধ্যে রয়েছেনঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার তিলকপাড়া এলাকার শফি মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া (২৬), গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাশাদহ গ্রামের উজ্বল মিয়া (২৪), একই জেলার পলাশবাড়ি উপজলোর দুর্গাপুর গ্রামের জব্বার মিয়ার চেলে গোলজার ওরফে সাগর (৩৫), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার সন্ধ্যাবাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিন (৩০) এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শাহ আলমের ছেলে টুটুল মিয়া (৩০)।
এর মধ্যে, সুরুজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ চারটি মামলা চলমান। উজ্বলের বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিসহ চারটি মামলা এবং শাহিনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।
ডাকাতির ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম