Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দলবদ্ধ ধর্ষণ-ছিনতাইসহ ১১ মামলার আসামি গ্রেফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুন ২০২১ ২১:০৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পরপর দুইদিনে দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর দুর্ধর্ষ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার যুবক দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১১টি মামলার আসামি। সরকারি দলের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

শনিবার (১২ জুন) রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার মো. করম আলী (২২) চট্টগ্রাম নগরীর কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আনন্দবাজার এলাকা থেকে মো. সোহেল নামে এক যুবককে তুলে স্থানীয় শেরশাহ পাহাড়ে নিয়ে মারধর করে চাঁদা দাবি করে। পরে তার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট ও নগদ চার’শ টাকা ছিনতাই করে নেয়। পরে আরও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় তাকে আবারও মারধর করে আহত করে।

পরদিন শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে শেরশাহ এলাকায় আরেকজনের কাছ থেকে নগদ দুই হাজার টাকা ও একটি মোবাইল এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে জোরপূর্বক ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।

এই দু’টি ঘটনার অভিযোগ পেয়ে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে করম আলী এই দু’টি ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার তথ্যপ্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার করম আলীর অপরাধ কর্মের বর্ণনা দিয়ে ওসি কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘করম আলীর নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। তারা সবসময় শেরশাহ পাহাড়ে অবস্থান করে। আর পাড়ায়, অলিগলিতে থাকে তাদের নেতৃত্বাধীন কিশোর অপরাধী চক্র। বায়েজিদ এলাকায় অনেক পোশাক কারখানা আছে। রাত ৮টার পর সেগুলো ছুটি হলে পোশাক কর্মীরা হেঁটে বাসায় ফেরেন। করম আলীর গ্রুপের সদস্যরা তাদের টার্গেট করে। সুযোগ বুঝে নারী কর্মী কিংবা পুরুষ কর্মীকে তুলে নিয়ে যায় পাহাড়ে। সেখানে মারধর করে টাকা-মোবাইল ছিনতাই করে। নারী কর্মীকে যৌন হয়রানি করে।’

এমনকি ২০১৭ সালে এক নারী পোশাক কর্মীকে শেরশাহ পাহাড়ে তুলে নিয়ে করম আলীসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে বলে একটি মামলার ভিত্তিতে তথ্য দেন ওসি।

‘চাঁদাবাজি, পাহাড়ে জমি দখল, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, মাদক বিক্রি, ছিনতাই, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি- নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত করম আলীর গ্রুপের সদস্যরা। অনেক প্রভাবশালী লোকজনের হয়ে ভাড়ায় খেটে জমিও দখল করে দেয়। আবার সরকারি দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। কিন্তু নেতাদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। আমরা করম আলীর গ্রুপের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।’

গ্রেফতারের সময় করম আলীর কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলাসহ শুধু বায়েজিদ বোস্তামি থানায় করমের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা আছে বলে ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

গ্রেফতার দলবদ্ধ ধর্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর