‘গার্ড অব অনারে’ নারী ইউএনও’র বিকল্প খোঁজার সুপারিশ
১৩ জুন ২০২১ ২০:০১
ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের আয়োজন দিনের বেলায় করা এবং যেসব জায়গায় নারী ইউএনও রয়েছেন সেখানে বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (১৩ জুন) কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং মহিলা ইউএনওর বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সরকার ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা প্রশাসন। ডিসি বা ইউএনও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকেন। কফিনে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার দেশে-বিদেশে প্রশংসিত, সেখানে এমন একটি সুপারিশ কতটুকু গ্রহণযোগ্য? এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তি উপস্থাপন করে শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, নারীরা জানাজায় থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন।
সভায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’ এর তহবিল গঠনে কোনো কোনো উৎসগুলোকে প্রতিষ্ঠার সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল মন্ত্রণালয়কে তার বিবরণী আগামী বৈঠকে সবিস্তারে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হাসপাতালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করানো হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ঔষধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারনের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যেকরণ বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। সভায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠান নির্ধারনের লক্ষ্যে সভাপতিকে আহবায়ক করে মোট ৬ সদস্যের একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় কিছু জায়গায় বিভিন্ন দিবসে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কিত ঘটনার সমাধানের লক্ষ্যে সমস্যার বিবরণী তুলে ধরে একটি সারসংক্ষেপ ক্যাবিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএম