আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়া ভেজাল ও নবাগতরা সাবধান: নানক
১৪ জুন ২০২১ ১৩:০৫
সিরাজগঞ্জ থেকে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগে ভেজাল এবং নবাগত যারা, তারা সাবধান হয়ে যান। তাদের কিন্তু ছাঁটাই করার সময় হয়ে গেছে।
রোববার (১৩ জুন) সিরাজগঞ্জ শহরের শহিদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিমের বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১/১১’র অঘটনের সময় অনেক নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। অনেক নেতা বাইরে বসে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। মোহাম্মদ নাসিমকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানোর পরও তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। কাজেই তিনি আমাদের পথ প্রদর্শক। তিনি আমাদের শিক্ষক।
স্মৃতিচারণ করে নানক বলেন, আমি রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম, আমার নেতাও (নাসিম) দায়িত্বে ছিলেন। এমন একটি প্রোগ্রাম নাই, যে অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে না বলেছেন তিনি। কর্মসূচি পেলেই হ্যাঁ বলে চলে যেতেন। রাজশাহী বিভাগসহ সারা বাংলাদেশ তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। একমাত্র কারণ দলকে শক্তিশালী, মজবুত ও ঐক্যবদ্ধ করা।
আসন্ন তিনটি উপ-নির্বাচনের দলের ত্যাগী ও দুঃসময়ের পরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে দাবি করেন নানক বলেন, শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। বড় বড় মিছিল, আর বড় বড় ঢোল বাজিয়ে যারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিল ফরম কিনতে, তারা মনোনয়ন পায় নাই। পেয়েছেন পঁচাত্তরের পরে ওই স্বৈরাচারি জিয়াউর রহমানের সময় যারা দলের দুঃসময় দুর্দিনে হাল ধরেছিলেন। নব্যদের ভিড়ে ম্লান হয়ে যাওয়া নেতাদের খুঁজে বের করেছেন শেখ হাসিনা?
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যকে হারাতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের একটি আভিজাত্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি অহমিকা রয়েছে। সেই আভিজাত্য অহমিকাকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। যারা ধ্বংস করতে চাইবে, যারা ওদেরকে ঢুকাতে যাবে, তাদেরকেই দল থেকে বের করে দিতে হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এছাড়া বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, প্রয়াত নাসিমের ছেলে সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, বিমল বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, বালাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুলসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামছুজ্জামান আলো।
সারাবাংলা/এনআর/এএম