পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: মামলার এজাহার আদালতে
১৫ জুন ২০২১ ১৩:১৪
ঢাকা: ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ কপি জমা দেওয়া হয়।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওসমান মুন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ডিএমপির করা বিমানবন্দর থানার মাদক মামলায় আসামিদের সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।
এরপর আমরা এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার (শোন অ্যারেস্ট) দেখাব।
গত ১৪ জুন নাসির ইউ আহমেদ ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পরীমনির লিখিত এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি ও বনিসহ দুটি গাড়িতে উত্তরার দিকে যান। ‘পথিমধ্যে অমি বলে বেড়িবাঁধে ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার ২ মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো আমরা ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। তখন অমি ভেতরে যায় এবং অমি অনুরোধ করে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো।
এজাহারে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যেই আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে প্রবেশ করে বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট হতে বের হতেই ১নং বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদেরকে ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ ১নং আসামি মদ্যপান করার জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে ১নং আসামি জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই। ১নং আসামি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন ও আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ১ নং আসামি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রাখা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ১নং আসামিকে বাধা দিতে চাইলে তাকেও মারধর করে নীলাফোলা জখম করে। আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিতে গেলে আমার ব্যবহৃত ফোনটি টান মেরে ফেলে দেয়।
পুনরায় ফোনটি উঠিয়ে কল দিতে চাইলে আবারও ফোনটি টেনে ফেলে দেয়। আসামি (অমি) সহ অজ্ঞাতনামা চারজন আসামি ১নং আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহায়তা করে।
সারাবাংলা/এআই/এএম