‘গার্ড অব অনার’-এ নারী ইউএনওদের বিকল্প খোঁজায় সংসদে ক্ষোভ
১৫ জুন ২০২১ ১৭:৫৭
ঢাকা: মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার সময় যেসব এলাকায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রয়েছেন, সেখানে বিকল্প খোঁজার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। এই সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং বিষয়টি যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় হাউজে উপস্থিত ছিলেন।
পয়েন্ট অব অর্ডারে সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, ‘কী অবস্থা তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশে! স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল যখন সরকারে, সেই সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থান দেখি, ফতোয়াবাজি দেখি। একটি জেলায় একজন জেলা প্রশাসক স্মারকলিপি দিয়ে বলেছেন, কোনো হিন্দু ম্যাজিস্ট্রেট যেন মুসলমান বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এই সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদর্শন না করেন। এই ধরনের ঘটনা যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি থেকে আসে. তা কিছুতেই বরদাশত করা যায় না।’
স্পিকাকোরকে উদ্দেশে শিরীন আখতার বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী ও সফল নেতা হিসেবে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতে সুনাম অর্জন করেছেন। আজ আপনি স্পিকারের পদে বসে আছেন। এই সংসদে আমার বোনেরা সব বসে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন কারণ দেখিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর যে সম্মান প্রদর্শন করা হয়, তাতে নারী ইউএনও যারা উপস্থিত না থাকেন বা তারা যাতে সেই কাজটি না করেন সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ করা হয়েছে। আমি বিস্মিত, হতবাক ও ব্যথিত যে আমার সহকর্মীরা, এই সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা এমনটি উত্থাপন করতে পেরেছেন।’
শিরীন আখতার বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। সেই দেশে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমরা স্তব্ধ হয়ে যাই।’ জানাজার সঙ্গে সম্মান প্রদর্শনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম
