আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বৈধতার রিট শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
১৫ জুন ২০২১ ২০:১৬
ঢাকা: রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য ২০১৮ সালে নিয়োগ দেওয়া দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এবং এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রিট শুনানিতে বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও বিচারপতি এস. এম. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রত হন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।
এখন নিয়ম অনুযায়ী এই রিটের বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলে সেই বেঞ্চে রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া সারাবাংলাকে জানান, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট দুই ডিএজি ও এক এএজিসহ ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এছাড়া আরও ছয় এএজির বিষয়ে যাচাই করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই রুলের জবাব দাখিল না করায় এবং বার কাউন্সিল থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না পেয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ সেই রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন আদালত।
এর আগে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ১৭৫ জন আইন কর্মকর্তার নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পেশাগত অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়ায় রিট করা হয়। একই সঙ্গে ওই রিটে আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(৩) নম্বর আর্টিকেলের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আর্টিকেল অনুযায়ী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের জন্য উচ্চ আদালতে ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং ৬৭ বছর বয়সের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু নিয়োগে ‘বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ আইন’ অনুসরণ করা হয়নি।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই ১০৫ জনকে সহকারী অ্যাটর্নি-জেনারেল পদে এবং ২১ জুলাই ৭০ জনকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) পদে নিয়োগ দেয় সরকার। আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর জেসমিন আরা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম