৪ দফা দাবিতে সিলেটে বিড়ি ভোক্তাদের সমাবেশ
১৫ জুন ২০২১ ২৩:৫৮
ঢাকা: নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো, গত বাজেটে বিড়ির ওপর বর্ধিত ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, নকল বিড়ি বন্ধ ও সিগারেটের মতো বিড়ি বন্ধের মেয়াদ একই রাখার দাবিতে সমাবেশ করেছে সিলেট বিড়ি ভোক্তা পক্ষ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সিলেট প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এই চার দফা দাবি জানান তারা। আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভোক্তা পক্ষের সভাপতি মো. মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, বাচ্চু মন্ডল, জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ি দেশের প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও ভোক্তা সবাই দরিদ্র শ্রেণির। তারা বিড়ি ছাড়া অন্য কোনো নেশা করে না। অন্যদিকে ধনীক শ্রেণির মানুষ সিগারেট ধূমপান করে। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে প্রতি প্যাকেটে দাম বাড়ানো হয়েছিল ৪ টাকা। অন্যদিকে বিড়ির প্রতিযোগী নিম্নস্তরের সিগারেটে দাম বাড়ানো হয়েছিল মাত্র ২ টাকা।
বক্তারা বলেন, বর্তমান বাজারে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তাই বেশি। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। ফলে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিড়ির বাজার সহজেই দখল করে এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংস হয়ে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে, যা চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক।
বক্তারা আরও বলেন, বিড়ির ওপর অতীতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত করের ভয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বাড়ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে সরকার প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও বিড়ি বন্ধের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। অন্যদিকে সিগারেট বন্ধের মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০৪০ সাল পর্যন্ত। দু‘টি সমজাতীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও এর মেয়াদকাল ভিন্ন হওয়া সমীচীন নয়। এতে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো একচিটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। আমরা এ বৈষম্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সমাবেশ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর