ঢাকা: প্রায় ৫০ হাজারের মতো কর্মী সৌদি আরবে গেছেন বা যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। এই কর্মীদের হোটেল কোয়ারেন্টিনে জনপ্রতি ৭০ বা ৮০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। অথচ এদের সকলকে ভ্যাকসিন দিয়ে সৌদিতে পাঠাতে পারলে কমপক্ষে ৩৭৫ কোটি টাকা দেশেই থাকত।
বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা এই তথ্য জানায়। বর্তমানে বায়রা’র কমিটি নেই। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য গঠিত সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ,বায়রা’র ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বায়রা’র সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেন, করোনাকালে প্রবাসীদের বিমানের টিকিটের জন্য উচ্চমূল্য গুনতে হচ্ছে। আবার সৌদিতে হোটেল কোয়ারেন্টিন বাবদ জনপ্রতি ৭০ বা ৮০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এটা প্রবাসীদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা এর মতো।
তিনি বলেন, নতুন এবং পুরাতন মিলে প্রায় ৫০ হাজারের মতো কর্মী সৌদি আরবে গেছেন বা যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। জনপ্রতি ৭০ বা ৮০ হাজার টাকা কোয়ারেন্টিন ফি হিসেবে তাদের পেছনে দেশ থেকে মোট ৩৭৫ কোটি টাকা বাইরে চলে যাবে। অথচ তাদেরকে করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে পাঠানো হলে এই অর্থ দেশেই থেকে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। যা এক ডোজ দিলেই কার্যকর হয়। তাই বিদেশগামীদের জন্য আমরা জনসনের এই ভ্যাকসিন আমদানির দাবি জানাচ্ছি। তাহলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাবে না এবং তাদের পেছনে সরকারের দেওয়া জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি লাগবে না।
বায়রা’র সাবেক অর্থসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, শুধু যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে তা নয়, এই ভ্যাকসিন আমাদের বিদেশগামীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও দরকার। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে এপস রয়েছে সেখানে বয়সসীমা ৪০ বছরের উপরে রয়েছে। অথচ আমাদের বিদেশগামীদের বয়সসীমা ২১-৪০ বছরের মধ্যে। তাই তারা রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না। বিদেশগামীদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রশনের এই বয়সসীমাটা পরিবর্তন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রা’র সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন, আবুল বারাকাত ভুঞা, সাবেক অর্থসচিব মিজানুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য লিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।