ঢাকা: আধুনিক আসক্তি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি। যারা রাজনীতি করেন, তাদের সঙ্গে সবাই ছবি তুলতে চায়। ছবির উদ্দেশ্য হলো ফেসবুকে দেওয়া— এমনটাই বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার এক পর্যায়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি জীবনে একটি সিগারেটও খাননি এমনকি একটি টানও দেননি। বাংলাদেশে ধূমপানের বিরুদ্ধে সামাজিক ক্যাম্পেইন ও আইন প্রণয়নের কারণে ধূমপায়ীর মোট সংখ্যা খুব বেশি না কমলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির আনুপাতিক হারে অনেক কমেছে। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৫ শতাংশ ধূমপায়ী। এক সময় ধূমপায়ীর সংখ্যা ৭০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সাংবাদিক ফোরামগুলো এ রকম সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসলে সমাজ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ দেশকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য তামাকবিরোধী আন্দোলনকে আরো বেগবান করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে আইনের সংস্কার প্রয়োজন হলে, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করতে হবে। সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে ধূমপান এবং মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। কারণ একজন ধূমপায়ী যেমন তিলে তিলে নিজেকে ধ্বংস করে, একজন মাদকাসক্ত পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে। সুতরাং এই ক্যাম্পেইনকে আরও জোরদার করতে হবে।
এসময় সাংবাদিকতার উৎকর্ষ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র দায়িত্বশীল বা ক্ষমতায় যারা আছে তাদের সমালোচনা নয়, সবার সমালোচনা হতে হবে। বিত্ত যখন রাষ্ট্রকে চোখ রাঙ্গায় বা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়, সেই বিত্ত তখন দুর্বৃত্ত হয়ে যায়। তার বিরুদ্ধেও লিখতে হবে।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মাশহুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াসিনের সঞ্চালনায় সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, জায়েদ সিদ্দিকী, হাসান শাহরিয়ার, আব্দুস সালাম মিয়া, আতাউর রহমান, সাদিয়া রহমান কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে, বিকেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বিমা দাবি পরিশোধের প্রয়াস’ অনুষ্ঠানে সচিবালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। এসময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিমা শিল্পের ভূমিকাকে অগ্রগণ্য বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও বিমা বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিমার ব্যাপকতর প্রসার প্রয়োজন।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন এবং আলোচক হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও বিভিন্ন বিমা কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।