বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: চীনের রাষ্ট্রদূত
১৬ জুন ২০২১ ২১:৪৫
ঢাকা: বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে করোনা প্রতিরোধে চীনের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
হাইব্রিড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বুধবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এই তথ্য জানান।
হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া এই বিজ্ঞানি দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ৯১ বছর বয়সে গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসাপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সিড অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দুই দফায় ১১ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুন সর্বশেষ ছয় লাখ ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে করোনা প্রতিরোধে চীনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুধু করোনা প্রতিরোধ নয়, যেকোনো প্রয়োজনে চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জামসহ বাংলাদেশকে নানা ধরনের চিকিৎসা সহযোগিতা দিয়েছে চীন। চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতেও সবধরনের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরনীয়। ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র সাত মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতো। হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের পর পাঁচ দশকের ব্যবধানে সেটি ৫ গুণ বেড়েছে। চীনের অর্ধেকের বেশি জমি এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশই হাইব্রিড। চীনে এখন ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে তার অবদান অবিস্মরনীয়।’
বিএসএ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুপ্রিম সিড কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুম প্রমুখ। এছাড়া আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হামনাথ ভান্ডারি, ইরির প্রধান কার্যালয়ের হাইব্রিড বিভাগের প্রধান ড. জহুর আলী, চীনের সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইয়াংকুই জ্যাং প্রমুখ।
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম