ইসলামাবাদে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
১৬ জুন ২০২১ ২৩:৫৯
ঢাকা: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ১২ জুন জাঁকজমকের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে বুধবার রাতে (১৬ জুন) এই তথ্য জানান হয়।
মিশন থেকে জানান হয়েছে, সম্পূর্ণ বাঙালি ধারায় আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে সম্ভাষণ, জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর প্রদর্শনী, জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হরেক রকম সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন ছিল এই উৎসবের মূল আকর্ষণ। সমগ্র চ্যান্সারী আলোকমালা, রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, ফুল ও ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী লোকপণ্য ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় দুই শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশি কমিউনিটি সদস্য, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’ এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-এর বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ, কারাগারের রোজনামচাসহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের উপর বই, আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শন করা করা হয়।
পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আগত অতিথিদের কাছে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন সংগ্রামের গল্প শোনান। পৃথিবীর বুকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা এবং এ উপলক্ষে এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি সম্মেলন সম্পর্কেও তিনি বিদেশি অতিথিদেরকে অবগত করেন।
স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বিগত একযুগে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে “রূপকল্প-২০২১” অর্জনের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে অবস্থান নিয়েছে এবং “রূপকল্প-২০৪১” অর্জনের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবার অভীষ্ট লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ অচিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের উপর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
সারাবাংলা/জেআইএল/একে