ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন নিয়ে এতদিনের জটিলতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এর জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এই নীতিমালা কার্যকর হলে বিদ্যালয়গুলোর নাম প্রয়োজনমতো দ্রুত বদল করা যাবে। আর নাম বদলালেও তেমন কোনো জটিলতা দেখা দেবে না।
জানা গেছে, নীতিমালার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল বুধবার (১৬ জুন)। এদিন মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে। এই কমিটিই নাম পরিবর্তনের নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে তাদের কাছে নিয়মিত অভিযোগ আসে। কিছু নাম খুবই আপত্তিজনক ও অস্বস্তিকর। এই নাম নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিব্রত হতে হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে মন্ত্রণালয় নিজেই বিব্রত। এ কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। আর সেই সিদ্ধান্ত থেকেই নীতিমালা তৈরির কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে। কেননা, নাম পরিবর্তনের সুযোগ দিতে চাইলে শুরুতেই প্রয়োজন হবে এই নীতিমালা।
এর আগে বিদ্যালয়ের নাম বদল করা হলে শুরু হতো নানা ধরনের জটিলতা। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যেত। এখনো এমন সমস্যায় রয়েছে প্রায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব জটিলতার কারণেই চাইলেও অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টানো যাচ্ছে না।
মন্ত্রণালয় বলছে, নাম বদল হলে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয়, সেটি নতুন নামের প্রতিষ্ঠানকে ডিটেক্ট করতে পারে না। ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, নীতিমালা তৈরি হয়ে গেলে তখন সফটওয়্যারও আপগ্রেড করা হবে। তখন বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হলেও তাতে কোনো সমস্যা হবে না।