Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২১ ০৯:১৪

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনলাইন বুলেটিনে এ আশঙ্কার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে আমরা যদি শতকরা হারে বিবেচনা করি তবে দেখা যায় ঢাকা শহরে গড়ে এখনও সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রান্ত ফলাফল দেখলে দেখা যায় যে আমাদের সংক্রমণ এখন ৬ শতাংশের নিচে আছে।

তবে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।

ডা. নাজমুল বলেন, পরিস্থিতি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব সেটি নির্ভর করবে বিদ্যমান যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে, সে অনুপাতে রোগীর সংখ্যার উপর। আমাদের যা সক্ষমতা রয়েছে, এ মুহূর্তে কোভিড ডেডিকেটেড ৭ হাজার শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে যদি রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার হয়ে যায়, তাহলেই সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

ভ্যাকসিন বিষয়ে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সংকট থাকায় প্রথম ডোজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। আমরা আশা করছি ফাইজার এবং সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকেই আবার প্রথম ডোজটি শুরু করতে পারব। ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যাহত থাকলে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরে চালিয়ে যেতে পারব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আরেকটি ভালো খবর হলো, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৬টি ভ্যাকসিনকে দেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যে উৎস থেকেই ভ্যাকসিন আসুক না কেন, সেটাই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব বলে আশা করি।

এসময় যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করলেও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারে নি তাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, যাদের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেছে, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। তাদের যে মানসিক কষ্ট ও যন্ত্রণা হচ্ছে, সেটি লাঘব করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আমরা বিভিন্ন দেশ এবং সংগঠনের সঙ্গে সরকার অত্যন্ত কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করেছে, আমরা আশাবাদী যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে, তা আমরা পেয়ে যাব। আর এই মুহূর্তে যেহেতু আমাদের কোনো বিকল্প নেই, যখনই পাওয়া যাবে তখন ওই ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব এবং তারা সেটি পেয়ে যাবেন।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর