সবচেয়ে বড় মেধাসম্পদ ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু: শিল্পমন্ত্রী
১৭ জুন ২০২১ ১৮:৫২
ঢাকা : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একটা থেকে আরেকটা আলাদা করা যায় না। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেধাসম্পদ ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলাদেশের ডিজাইন করেছেন, দিয়েছেন পেটেন্ট। বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় ডিজাইনার আর কেউ নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন, ডিজাইন ও নির্দেশনা দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তারই কারণে বাংলাদেশ হলো, একটি জাতি হলো এবং একটি মানচিত্রের জন্ম নিলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধাসম্পদ’ শীর্ষক সেমিনার এবং বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ডিপিডিটি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম এবং মো. সানোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. আবদুস সাত্তার।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আমরা আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছি। কোভিডকালীন প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের কোনো কিছু বন্ধ হয়ে যায়নি, শঙ্কিত হয়ে যায়নি এমনকি থেমেও যায়নি। আমাদের শিল্প ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘বিশ্ব সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হলে দেশের সফল গবেষক, প্রযুক্তিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মেধাসম্পদ সংরক্ষণ এবং এর ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য মেধাসম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। মেধাসম্পদকে সংরক্ষণ ও কাজে লাগাতে হলে এর গুরুত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, গবেষণা বাড়াতে হবে, ট্রেনিং বাড়াতে হবে এবং সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমেই কেবল একটি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব। এজন্য মেধাসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেই সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব। আর এ লক্ষ্যে মেধা সম্পদ সংরক্ষণে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর তথা শিল্প মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সয়য়ে আমরা ৬ হাজার ২১টি পেটেন্ট সনদ, ১৮ হাজার ৪৯৮টি ডিজাইন সনদ এবং ৬২ হাজার ৬০৯টি ট্রেডমার্কস্ নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছি। আমরা বাংলাদেশের ইলিশ, জামদানি, ঢাকাই মসলিম, খিরসাপাত আম, চিনিগুড়া ও কাটারিভোগ চাল, শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক এর ভৌগোলিক পণ্যের নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছি। এ ছাড়াও আমরা অনলাইন সেবা চালু করেছি, যার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা এখন ঘরে বসে নিবন্ধন সেবা নিতে পারছে।’
সারাবাংলা/জিএস/একে