।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে হাসপাতালের আট কর্মচারীকে ৬ মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৮ মার্চ) রাত পৌনে ৮টায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার আলম এই দণ্ডাদেশ দেন। এর আগে বিকেলে ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব।
সরোয়ার আলম জানান, রোগীকে জিম্মি করে ভুয়া চিকিৎসা দেওয়া, চিকিৎসক ছাড়া অস্ত্রোপচার এবং প্যাথলজি ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার গেছে।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায়, অপারেশন রুমে ডাক্তার নেই, বরং সেখানে অপারেশন করছে ওয়ার্ড বয়। প্যাথলজি ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়াই ডাক্তারের স্বাক্ষর নকল করে রিপোর্ট দেওয়া হতো। এছাড়া হাসপাতালে অননুমোদিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়া যায়।
রোগীরা অভিযোগ করেন, এই হাসপাতালে নামে শুধু আইসিইউ রয়েছে। সেখানে অবাধে সবাই প্রবেশ করে।
হাসপাতালের ম্যানেজার হাসান রোগীর স্বজনদের নানা রকম নির্যাতন ও যৌন হয়রানি করত। তার এ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি ।
রোগীরা জানান, এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে দুইজন দালাল রয়েছে। সেখানকার রোগীদের ফুঁসলিয়ে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে আসত তারা। রাজি হলে ওইসব রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে অগ্রিম ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো।
কোনো সময় স্বজনরা টাকা ফেরত চাইলে ফেরত দিত না। আবার হাসপাতালের কারো কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করলে, ভয়ভীতি ও মারধর করত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালের মালিক নুরুন্নবীকে ফোন দিয়ে অফিসে আসতে বললেও তিনি আসেননি। বরং তিনি পালিয়ে যান। তার নামে মামলা করা হবে বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার আলম।
সারাবাংলা/এসআর/এটি