‘সংস্কৃতিক আদান-প্রদানে ৪৪ দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার’
১৭ জুন ২০২১ ২৩:১০
ঢাকা: সাংস্কৃতিক চুক্তি ও বিনিময়ের মাধ্যমে বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনকেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেছেন, এ উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই করেছে। আরও ৩৭টি দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তি সইয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিট্যাল ২০২০-২১ বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্টানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৯টি সাংস্কৃতিক দলকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে এবং ৯টি সাংস্কৃতিক দল বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের স্থানীয় ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যুবপ্রেমী, গতিশীল ও দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। আমরা এরই মধ্যে উন্নয়নের ধারায় অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। এ যাত্রায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উন্নত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সহযোগিতা ও বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম যুবশক্তি গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশন পৃষ্ঠপোষকতা করার সুযোগ পেয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ‘ওআইসির যুব রাজধানী ২০২০’ উদযাপনের জন্য বছরব্যাপী ১০টি মেগা ইভেন্ট এবং বেশ কয়েকটি আনুষঙ্গিক ইভেন্ট ডিজাইন করা হয়েছে, যা আটটি নেতৃত্ব প্রদানকারী মন্ত্রণালয় এবং ২০টি সহ-নেতৃত্ব প্রদানকারী মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওআইসির সদস্য দেশগুলো এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মোট ৩৩৫ জন শিল্পী রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশনে অংশগ্রহণের আবেদন করেছেন। প্রদর্শনীতে ১৭ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত একটি ভার্চুয়াল গ্যালারির মাধ্যমে ক্যালিগ্রাফি, সমকালীন চিত্রকলা, গ্রাফিক ডিজাইন ও আলোকচিত্র মাধ্যমের মোট ১০০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকেরও বেশি থাকবেন বাংলাদেশি। সমগ্র বিশ্বকে বাংলাদেশ, এশিয়া ও বাকি বিশ্ব— এই তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। বিচারকরা প্রতিটি অঞ্চল থেকে প্রতিটি মাধ্যমে তিন ধরনের আঞ্চলিক পুরস্কার এবং সারাবিশ্ব থেকে চারটি মাধ্যমে চারটি গ্র্যান্ড পুরস্কার নির্বাচন করেছেন। আঞ্চলিক পুরস্কারগুলোকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্যমান যথাক্রমে ৫০০, ৩০০ ও ২০০ মার্কিন ডলার। এর সঙ্গে থাকবে একটি সনদপত্র। অন্যদিকে প্রতিটি গ্র্যান্ড পুরস্কারের মূল্যমান ২৫০০ মার্কিন ডলার, সঙ্গে একটি সনদপত্র।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিট্যাল ২০২০-২১ বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশন