তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

ঢাকা: তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) আট দিনব্যাপী এই উৎসবের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এসময় তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র শিল্প-সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার যথার্থ প্রতিফলন ঘটে বলে এটি সবচেয়ে জীবনঘনিষ্ঠ মাধ্যম।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চলচ্চিত্র নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দু’বার ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো এবার আয়োজিত হচ্ছে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১’। এ উৎসব সৃজনশীল সংস্কৃতিকর্মী এবং রুচিবান দর্শকদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক ও লেখক অনুপম হায়াৎ এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম (আফসানা মিমি)।

উল্লেখ্য, এবারের উৎসবে প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্র জমা হয়, সেখান থেকে উৎসবের জন্য নির্বাচকরা ৮১টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ৩৮টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ১১৯টি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছেন। উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি মোট ৩টি বিভাগে পুরস্কারের প্রচলন থাকলেও এ বছর আরও চারটি বিভাগে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা যুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে পুরস্কারের অর্থমূল্যও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

তৃতীয় বাংলাদেশ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র