Sunday 18 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে


২৮ মার্চ ২০১৮ ২২:০৭ | আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০১৮ ২২:৪১

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ২০তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। এ কার্যক্রমের আওতায় এবার প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।

বুধবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভা কক্ষে ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলবে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা জানান, উল্লেখিত সময়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার জন্য সারাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক ও ৩০ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় এই কর্মসূচির  আওতাভূক্ত। দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সকল শিশুকে এবং সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এবারের ২০তম রাউন্ডে প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর টার্গেট করা হয়েছে।

পাশাপাশি দেশব্যাপি ক্ষুদে ডাক্তার টিমের মাধ্যমে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন ও শুধু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ সালের জরিপে শিশুদের কৃমি সংক্রমণের হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ আর প্রতি রাউন্ডে ওষুধ সেবনের হার ৯৭ ভাগের উপরে। কৃমি রোধের জন্য সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সাথে ওষুধ সংক্রান্ত ব্যপারে যোগাযোগ ও ওষুধ সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় জানানো হয়, কৃমি সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বাস করে শরীর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং বংশ বৃদ্ধি করে৷ কৃমির ডিম্বাণু মানুষের মুখের সাহায্যে প্রবেশ করতে পারে আবার ত্বকের সাহায্যেও লার্ভা হিসেবেও প্রবেশ করতে পারে। অনেক সময় কৃমি মানুষের যকৃত, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস বা অন্য কোনো অঙ্গতেও আক্রমণ করতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাউসার সাবিনা, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী সরকার, ইউএসএ’র প্রতিনিধি অ্যালেক্স জোন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিডিসি শাখার উপ-পরিচালক ডা. আব্দুস সবুর, ডা. জহিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

সারাবাংলা/জেএ/টিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর