সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট বাড়ছে: মির্জা ফখরুল
১৯ জুন ২০২১ ১৪:৪০
ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিকে শেষ করে ফেলেছে। একটা লুটেরা রাজত্ব কায়েম করেছে। সম্পূর্ণ লুটেরা রাজনীতি চালু করেছে।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘সাদা দল’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠনের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ইতিহাস ধ্রুবতারা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট হয়ে যায় ৪০/৫০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। আজকে পত্রিকায় আসছে, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্ট বাড়ছে। কানাডা, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি হচ্ছে। সব জায়গায় তাদের প্লট তৈরি হচ্ছে। এটা তাদের লোকেরা নিচ্ছে। এক জায়গায় নয়, সব জায়গায়। এভাবেই আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতিকে ধ্বংস করা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনতন্ত্র থেকে বহুদলীয় শাসনতন্ত্র এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসন কে কায়েম করেছিলেন, এ কথা বললেই নারাজ হয়ে যান আপনারা। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তারা কোনো জবাব দিতে চায় না। কেন বাকশাল, রক্ষিবাহিনী তৈরি করেছিলেন তাদের কোনো উত্তর নেই। কেনই বা তত্ত্বাবাধয়ক সরকার বাদ দিয়ে দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন দিচ্ছেন তাদের কাছে এসবেরও জবাব নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে একটা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন না। অনেকেই বলেন মুক্তিযুদ্ধ করেননি। পাকিস্তানের চর ছিলেন। এভাবেই বিভিন্নভাবে তাকে একটা খলনায়কে পরিণত করতে চায়। কিছু কিছু বইয়ে শিশুদের শিখানো হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান নাকি জড়িত ছিলেন। এখন এ কথা প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বনিম্ন নেতাকর্মীও সর্বক্ষেত্রে বলছেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমানের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা চলছে। এটা প্রতিহত করতে হবে।
গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল মাহমুদ হোসেন টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এআই/এএম