রায় প্রদানে কালক্ষেপণ কাম্য নয়: প্রধান বিচারপতি
২০ জুন ২০২১ ১১:৩১
ঢাকা: রায় প্রদানে কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়, প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় ইনকোয়ারি কমিটির নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ রোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজ, সকল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ২৪৯ জন অংশগ্রহণ করেন। পরে এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় মানবাধিকার কমিশন।
সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধ সুদীপ্ত মুখার্জি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন সংশ্লিষ্ট বিচার দ্রুত ও সঠিকভাবে নিস্পত্তির লক্ষ্যে বিচারকদের দিক-নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি আশা করব, ধর্ষণের মামলা পরিচালনাকালে কারও দ্বারা আদালত প্রভাবিত হবে না। বিচারহীনতা/বিচারে বিলম্বের অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রায় প্রদানে কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায় আর অপরাধী যেন নিস্তার না পায়।’
ধর্ষণের মামলার শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমরা নুসরাত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত রায় দেখেছি যা প্রশংসনীয়। কিন্তু রায় এখনো কার্যকর হয়নি।’
সকল ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত রায় এবং রায় কার্যকর হলে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে