মা-বাবা-বোনকে হত্যায় মেহজাবিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
২০ জুন ২০২১ ১৪:৪১
ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদনগরে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আরেক মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মেহজাবিনের চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
রোববার (২০ জুন) দুপুরে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর সারাবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার গভীর রাতে নিহত মাসুদ রানার ছোটভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে ভাতিজি মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে আজ মামলা রুজ্জু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সেই মামলায় মেহজাবিনকে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া শফিকুলকেও এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৯৯৯-এ মেহজাবিনের ফোন পেয়ে মুরাদপুরের লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায় পুলিশ। সেখান থেকে শনিবার (১৯ জুন) পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও ছোটমেয়ে জান্নাতুল ইসলাম (২১)।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে (২৪) গতকালই আটক করে পুলিশ। আর মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল (৩০) ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এ বিষয়টি মা বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, মেহজাবিন আত্মস্বীকৃত একজন খুনি। স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। বোনের সঙ্গে তার স্বামীর অবৈধ কোনো সম্পর্ক ছিল কি না সে বিষয়ে শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সারাবাংলা/ইউজে/এএম