ঢাকা: কঠোর নজরদারির মধ্যে থেকেও রোহিঙ্গাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এতো সতর্কাবস্থা থাকার পরেও কিভাবে একাজ হচ্ছে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশের এনআইডি পৌঁছার বিষয়টি দুশ্চিন্তার। তবে এ ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সরকার সতর্ক রয়েছে।
রোববার (২০ জুন) সচিবালয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কিছু ঘটনা যে ঘটেনি তা আমরা অস্বীকার করছি না। তবে আর যেন না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত যে ক্যাম্প রয়েছে সেখান থেকে তারা বের হতে পারবেন না। তাদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও কঠোর হবে। রোহিঙ্গাদের হাতে যেন আর পাসপোর্ট কিংবা ন্যাশনাল আইডি না যায় সেটা আমরা দেখছি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নীপিড়নের মুখে দেশটি থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ওই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি সই করে। ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসন শুরু করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। ওই গ্রুপের চতুর্থ ও শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের মে মাসে মিয়ানমারের নেপিডোতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গ্রুপের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা এক রকম থেমে রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় না এগোতে পেরে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর শুরু করেছে। ধাপে ধাপে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে এরইমধ্যে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।