‘আমার কোনো অনুশোচনা হচ্ছে না’
২০ জুন ২০২১ ১৭:৩৮
ঢাকা: কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসায় বাবা, মা ও বোনকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মেহজাবিন ইসলাম মুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২০ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন মেহজাবিন। কেন খুন করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মেহজাবিন বলেন, ‘পরকীয়া এবং পারিবারিক ঝামেলার কারণে তাদের খুন করেছি।’
আপনার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না জানতে চাইলে মুন বলেন, ‘না। আমি একাই ছিলাম।’
আপনার কোনো অনুশোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে মুন বলেন, ‘না। কোনো অনুশোচনা হচ্ছে না।’
এরপর তার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে মেহজাবিনের পক্ষে এদিন কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
৯৯৯-এ মেহজাবিনের ফোন পেয়ে মুরাদপুরের লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায় পুলিশ। সেখান থেকে শনিবার (১৯ জুন) পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও ছোটমেয়ে জান্নাতুল ইসলাম (২১)।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে (২৪) গতকালই আটক করে পুলিশ। আর মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল (৩০) ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এ বিষয়টি মা বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
মা-বাবা-বোনকে হত্যায় মেহজাবিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
কদমতলীতে বোনসহ বাবা-মাকে হত্যায় বড় মেয়ে রিমান্ডে
অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মা-মেয়ের দ্বন্দ্ব থেকেই কদমতলী হত্যাকাণ্ড
কদমতলীতে কন্যাসহ দম্পতির লাশ উদ্ধার, আটক আরেক মেয়ে
সারাবাংলা/এআই/একে