Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কাজুবাদাম-কফির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২১ ১৮:১৬

ঢাকা: দেশে কাজুবাদাম ও কফি উৎপাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। দেশের পাহাড়ি ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় এই ফসলের চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (২০ জুন) বান্দরবন জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে কাজুবাদাম ও কফির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ চলছে। দেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে আমরা কাজ করছি। পাহাড়ী অঞ্চলসহ সারাদেশের যে সব অঞ্চলে কাজুবাদাম এবং কফির চাষাবাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে— তা চাষের আওতায় আনতে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু দেশে উৎপাদন নয়, বিদেশ থেকে কাঁচা কাজুবাদম এনে প্রক্রিয়াজাত করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সেজন্য কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাতের সমস্যা দূর করা ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির ওপর শুল্কহার প্রায় ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে মাত্র ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।

কাজুবাদাম ও কফির মত অর্থকারী উচ্চমূল্যের এসব ফসলের চাষ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ সময় কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে কাজুবাদম, কফি চাষে ও প্রক্রিয়াজাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও দেশের উপযোগী উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তা কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী।

এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারে উন্নত জাতের কফি ও কাজুবাদামের চারা উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারাদের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২১১ কোটি টাকার কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটি ২০২১-২৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। দেশের ২৮টি জেলায় ৮৮টি উপজেলায় কাজ করবে। এর মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাতের চারা উদ্ভাবন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য তিন জেলায় প্রায় পাঁচ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম আবাদ করতে পারলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি, পাহাড়ি জমিতে কফি আবাদ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, আর এক লাখ হেক্টর জমিতে কফি চাষ করতে পারলে দুই লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।

সারাবাংলা/জেআর/ইএইচটি/এনএস

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক টপ নিউজ দেশে কাজুবাদাম ও কফি উৎপাদন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর