ঢাকা: ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২০ জুন) মামলাটির এজাহার আদালতে আসে। এরপর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত শনিবার (১৯ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক এবং ম্যানেজার অপারেশন এমরান আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, মামলাতে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এফভিপি ও বংশাল শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহমেদ এবং সিনিয়র অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হককে আসামি করা হয়েছে। টাকা লোপাটের তথ্য জানাজানি হওয়ার দিনই দুই আসামিদের আটক করেছিল পুলিশ।
দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণারে মাধ্যমে ব্যাংকের ভল্ট থেকে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দুদক আইনের ৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক গত ১৭ তারিখে বাদী হয়ে বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রিফাতুল হক ও এমরান আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
আসামি রিফাতুল হক ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ হিসেবে কাজ করছেন। ঢাকা ব্যাংকের প্রধান কার্যালযের আইসিসি ডিভিশনের ইন্টারনাল অডিট অ্যান্ড ইনস্পেকশন ইউনিট থেকে বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১৭ জুন বংশাল শাখা পরিদর্শনে যান এবং তাদের তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে শাখার ভল্টে ক্যাশ হিসাবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ঘাটতি পাওয়া যায়। ওই টাকার ঘাটতি বিষয়ে ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি টাকার ঘাটতি বিষয়টি স্বীকার করে নেন। তিনি আরও জানান, ২০২০ সালের ২০ জুন থেকে চলতি বছরের ১৬ জুন পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করে ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়েছেন তিনি।