‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানিতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে’
২০ জুন ২০২১ ২১:১০
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রফতানিমুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে ‘বর্ষ পণ্য-২০২০’ বা ইয়ার অব দ্য প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন।
রোববার (২০ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। এ শিল্প রফতানিমুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাস্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রফতানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন হরা হচ্ছে। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীবাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখীকরণের ফলে রফতানি বাজার সম্প্রসারিত হবে।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণারলয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বিষয়ের ওপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের টেকনিকেল অ্যাডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম