‘কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে’
২১ জুন ২০২১ ২০:২৯
ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহায় কোনোভাবেই যেন চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে অব্যবস্থাপনা তৈরি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণের মজুত দেশে রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোরবানির চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সরংক্ষণে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (২১ জুন) চামড়া খাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় শিল্প মন্ত্রী ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্তসংখ্যক গবাদি পশু রয়েছে। কোনো গবাদি পশু আমদানি করতে হবে না। আসন্ন ঈদে যেন দেশে অবৈধভাবে গবাদি পশু প্রবেশ করতে না পারে এবং পশুর চামড়া যেন পাচার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্পের অবস্থান। করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে চামড়া শিল্প খাত যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও চামড়া খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, খুব শিগগিরই ব্যবসায়ীদের নিয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সভা করা হবে। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনার জন্য মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন বলেন, কোরবানির পশু জবাইয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশসম্মতভাবে বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে হবে। যেখানে-সেখানে কোরবানির পশু জবাই করা যাবে না। বিশেষ করে, রাস্তার ওপর কোরবানির পশু কোনোভাবেই জবাই করা যাবে না।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, চামড়া ব্যবসায়ীরা যেন চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারে, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা ২০২১ উপলক্ষে ট্যানারি মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের আগের ঋণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে দ্রুত সভা করা হবে। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই সভা করে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করবে। সঠিকভাবে পশুর চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয়গুলো বিজ্ঞাপন/টিভিসি আকারে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আসন্ন ঈদে দেশে অবৈধভাবে পশু প্রবেশ করতে না পারে এবং পশুর চমড়া যেন পাচার না হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
কোরবানির পশু চামড়া সংরক্ষণ পশুর চামড়া বাণিজ্যমন্ত্রী লবণের মজুত শিল্পমন্ত্রী