কমিউনিটি সেন্টার ভেবে পিবিআই অফিসে চুরি করে ধরা
২২ জুন ২০২১ ১৯:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে চুরির ২৩ দিন পর মো. শাহআলমের (৩০) একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিবিআই জানিয়েছে, অফিসটিকে কমিউনিটি সেন্টার ভেবে চুরি করে ওই ব্যক্তি। তার কাছ থেকে চুরি করা দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) নগরীর ঈদগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন।
গ্রেফতার শাহআলমের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরীর ঈদগাঁও বৌ বাজার আমতল এলাকায় ভাড়া বাসায় তার বসবাস। পেশায় রিকশাচালক।
এদিকে, পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের কার্যালয় কয়েক মাস আগে খুলশী থেকে ডবলমুরিং থানার বার কোয়ার্টার এলাকায় স্থানান্তরিত হয়। সেখানকার একটি কমিউনিটি সেন্টারকে সংস্কার করে নতুন অফিস হিসেবে সাজানো হচ্ছে।
পিবিআই জানিয়েছে, ২৯ মে ভোরে নগরীর পাহাড়তলী বার কোয়ার্টার এলাকায় পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার ২০২ নম্বর রুমের জানালার গ্রিল কেটে চোরের দল দুইটি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। সেখান থেকে আরও একটি ল্যাপটপ ও মনিটর নেওয়ার চেষ্টা করেও সেগুলো টেবিল থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় সেগুলো নিতে ব্যর্থ হয় চোরের দল।
যে কক্ষটিতে চুরির ঘটনা ঘটে সেটি পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার কক্ষ। তিনি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)। একই কক্ষ পিবিআইয়ের আরও পাঁচ কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহত হয়। চুরির পর পিবিআইয়ের এএসআই রাজীব বড়ুয়া বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে পরদিন ভোর ৬টার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বাঁশের মাথায় শপিং ব্যাগ ও কাঠ লাগিয়ে চুরি করে যাবার সময় সেগুলো তারা ফেলে যায়।
পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, সে একজন গ্রিল কাটা চোর। ভবনটিতে যে সরকারি অফিস হয়েছে তা সে জানত না। কমিউনিটি সেন্টার ভেবেই চুরি করেছে।
সারাবাংলা/আরডি/একেএম