Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবসরের পর জানা গেল, ডিজিএমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ জুন ২০২১ ২৩:৩৫

ঢাকা: প্রদীপ কুমার শর্মা। ১৯৮৩ সালে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সিনিয়র অফিসার পদে সোনালী ব্যাংকে যোগ দেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরে যান ২০১৪ সালের ৩০ জুন। সব মিলিয়ে ৩০ বছরের চাকরি জীবন শেষে অবসরের পর জানা গেল, প্রদীপ কুমার শর্মা জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে ব্যাংকে চাকরি করছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে এ ঘটনা উঠে এসেছে। সংস্থাটি তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২২ জুন) মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে।

বিজ্ঞাপন

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রদীপ কুমার শর্মার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে কমিশন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা সোনালী ব্যাংকে ১৯৮৩ সালে সিনিয়র অফিসার পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই সিনিয়র অফিসার পদে যোগ দিয়ে ৬০ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ৩০ জুন ডিজিএম হয়ে অবসরে যান।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, ৩০ বছরের চাকরি জীবনে সোনালী ব্যাংক থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা, উৎসব বোনাস বাবদ ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫২৩ টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণ, গাড়ি ও কম্পিউটার ঋণ বাবদ ৪৬ লাখ ১২ হাজার ৮৬৬ টাকা উত্তোলন করেন প্রদীপ কুমার। সব মিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদীপ কুমার শর্মাকে সরকারি বেতন-ভাতাসহ ভোগ করা অর্থ ফেরত দিতে হবে। দুদকের তদন্তেও প্রদীপ কুমার শর্মার মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া সনদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর