ঢাকা: পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ২৯ জুন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।
সর্বশেষ গত ৩ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য হয়নি। বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালু হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।