Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফটিকছড়িতে লকডাউন: সদরে কঠোর, গ্রামে ঢিলেঢালা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ জুন ২০২১ ১৬:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ব্যাপক সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে। সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সীমিত আকারে অন্যান্য গণপরিবহনও ফটিকছড়িতে ঢুকতে এবং বের হতে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানগুলোতে মার্কেট-দোকানপাট প্রায় বন্ধ আছে। তবে গ্রামের ভেতরে দোকানপাট খোলা আছে।

বিজ্ঞাপন

তবে প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে প্রশাসন আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফীন।

দুই সপ্তাহে ফটিকছড়ি উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার পর বুধবার (২৩ জুন) থেকে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ওই উপজেলায় আট দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মুদি দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকতে পারবে। ওষুধের দোকান ছাড়া আর কোনো দোকান খোলা থাকতে পারবে না। মার্কেট-শপিংমল, কমিউনিটি সেন্টার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। জনসমাগম হয় এমন কোনো আয়োজন করা যাবে না। উপজেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে ফটিকছড়ি উপজেলায় জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ঢুকতে পারবে না, ফটিকছড়ি থেকেও কোনো পরিবহন যাত্রী নিয়ে অন্য উপজেলায় যেতে পারবে না। ফটিকছড়ির উপর দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল করতে পারবে, তবে উপজেলার ভেতর কোনো যাত্রী উঠানামা করা যাবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

বুধবার দুপুরে সারাবাংলা’র ফটো করেসপন্ডেন্ট শ্যামল নন্দী উপজেলা সদর ও নাজিরহাট বাজার ঘুরে দেখেন, সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ৫-৭ জন করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। নাজিরহাট কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় ছিল। তবে সেখানে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। ফটিকছড়ি উপজেলা সদরে কয়েকটি মার্কেট খোলা ছিল। দোকানপাটও কিছু কিছু খোলা দেখা গেছে। ইউএনও সেখানে গিয়ে তাদের সতর্ক করার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নাজিরহাট ও উপজেলার সদরের আশপাশের গ্রামের ভেতরে দোকানপাট খোলা দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন শ্যামল নন্দী।

জানতে চাইলে ইউএনও মো. সায়েদুল আরেফীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিছু অটোরিকশা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। কয়েকটিকে আমরা জরিমানা করেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু দোকানপাট খুলেছিল, সেগুলোকে আমরা সতর্ক করেছি। প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। আজ আমরা খুব সামান্যই জরিমানা করেছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে আমরা আরও কঠোর হব।’

বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফটিকছড়িতে যাত্রীবাহী বাস প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বাস কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে বুধবার রাত ৮টা পর চট্টগ্রাম মহানগরী এবং আশপাশের এলাকায় সকল মার্কেট-শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি লকডাউন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর