নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ইউরোপের সহযোগিতা চায় সরকার
২৩ জুন ২০২১ ১৮:৩১
ঢাকা: পরিবেশ সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে এসেছে। জোর দেওয়া হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এরইমধ্যে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে তিন শতাংশ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগগুলোর সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত হবে।
বুধবার (২৩ জুন) নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক টিম ইউরোপ উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। ২০৪১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ৪০% হবে। ৫৮ লক্ষ সোলার হোম সিষ্টেমের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া হচ্ছে। নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে রুফটপ সোলার জনপ্রিয় বিজনেস মডেল হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে জমি স্বল্পতার কারণে সৌরবিদ্যুতের বড় প্রকল্প নেওয়া যাচ্ছে না। সৌরবিদ্যুতে কম জমি লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রয়োজন।
টিম ইউরোপ ইনিসিয়েটিভের সঙ্গে বায়ুবিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ওশান নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে অনুসন্ধান ও কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ইউরোপের অভিজ্ঞতা এসব বিষয় উন্নয়নে আশানুরূপ অবদান রাখবে। মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে একত্রে কাজ করতে পারলে উভয়পক্ষই উপকৃত হবে, বলে মনে করছেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে, গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের সোশ্যাল প্রোটেকশন বিভাগের টিম লিডার কোয়েন এভারার্টের সঞ্চালনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসজে টিরিংক, জার্মান দূতাবাসের হেড অব কো-অপারেশন কারেন ব্লুম, স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, কেএফডব্লিও, এএফডি এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেআর/একেএম
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ