ঢাকা: ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পেতে পারে। নয়াদিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত তিন কোটি ডোজ ভ্যাকিসিন বাংলাদেশের পাওয়ার কথা রয়েছে। যা প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ করোনা পরিস্থিতি নেতিবাচক পর্যায়ে এবং কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভ্যাকসিন উৎপাদন না হওয়ায় ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভ্যাকসিন ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভারতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের বর্তমান পরিস্থিতি চলমান থাকলে আগামী আগস্টের মধ্যে দেশটির ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবে। এর মধ্য দিয়ে করোনা প্রতিরোধে যে পরিমাণ হার্ড ইমিউনিটি প্রয়োজন সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবে বলে ভারতের বিশ্বাস। পাশাপাশি ভ্যাকসিন উৎপাদনও সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকবে। তাই ভারত সরকার পরিকল্পনা করেছে যে, আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিবেশি দেশগুলোতে পুনরায় চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহ চালু করবে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে যেকোনো দেশে পাঠানো এই ভ্যাকসিনের পরিমাণ সর্বোচ্চ। চুক্তি অনুযায়ী বাকি ভ্যাকসিন সরবরাহে ভারত সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এর চাহিদা প্রচুর কিন্তু উৎপাদন সীমিত। ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়লেই সরবরাহ বাড়বে।’