সরকার গরিবের কথা না ভেবে গুলশান-বনানীর কথা ভাবে
২৪ জুন ২০২১ ০০:৫১
ঢাকা: স্বাধীনতার সময় ‘কেউ খাবে তো, কেউ খাবে না; তা হবে না, তা হবে না’ এই স্লোগান দিতাম। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেও একই স্লোগান দিতে হচ্ছে। ৫০ বছরেও আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত রূপ দেখতে পাইনি। সরকার গরিব মানুষের কথা না ভেবে শুধু গুলশান-বনানীর মানুষের কথা ভাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের মুখে অন্নের যোগান দিতে সরকার ব্যর্থ। রিকশাচালকরা নিজ উদ্যোগে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছে। সরকার আজ তাদের রুটি-রুজির অধিকার কেড়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে পথে বসাচ্ছে।
সারাদেশে মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজি বাইকসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের আরও কিছু যানবাহন নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে বুধবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা ভিক্ষা চাইতে আসে নি। নিজেদের অধিকারের কথা বলতে এসেছে। সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে প্রয়োজনে শ্রমিকরা সবকিছু বন্ধ করে দেবে।
সেলিম আরও বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ পশুর মতো শ্রম দিতে পারে না। সরকার প্রয়োজনে ব্যাটারি রিকশার আধুনিকায়ন এবং পরিবর্তন করে লাইসেন্স দিতে পারে। অবিলম্বে মোটরচালিত রিকশা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এবং রিকশাচালকদের ওপর চলমান জুলুম প্রত্যাহার করতে হবে।
সমাবেশ থেকে শুক্রবার (২৫ জুন) থানা, উপজেলা ও অঞ্চলে শ্রমিক সমাবেশ; রোববার (২৭ জুন) জেলা পর্যায়ে শ্রমিক সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ; ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশ শেষে সারাদেশে ৫ লাখ ব্যাটারি রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল এবং বুয়েট প্রস্তাবিত রিকশাবডি, এমআইএসটি উদ্ভাবিত গতি নিয়ন্ত্রক, উন্নত ব্রেকসহ ব্যাটারি চালিত রিকশার লাইসেন্স, রিকশা চালকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং প্রকৃত রিকশা চালককে চালক লাইসেন্স প্রদান করার দাবিতে একটি বিশাল মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম