ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশকে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ এডিবির
২৪ জুন ২০২১ ১৫:৪৬
ঢাকা: বিশ্বব্যাংকের পরে এবার করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশেকে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ‘রেসপন্সিভ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস ফর রিকভারি প্রজেক্ট আন্ডার দ্যা এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাকসিন অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রাম’র আওতায় এই ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শেরে বাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক (ইআরডি) ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ঋণচুক্তিতে সই করেন।
চুক্তিতে বলা হয়, অর্থ বিভাগ এই প্রোগ্রামের উদ্যোগী বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রকল্পের সার্বিক তদারকি করবে। ভ্যাকসিন সাপোর্ট প্রোগ্রামটি জুন ২০২১ হতে মে ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। এর উদ্দেশ্য হলো কোভিড-১৯ অতিমারী প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ক্রয়ে সহায়তা করা ।
ঋণের এই ৯৪ কোটি ডলারের অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৭ কোটি ডলারের জন্য বাংলাদেশকে নিয়মিত ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অবশিষ্ট ৪৭ কোটি ডলার রেগুলার সুদ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অব্যয়িত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ ঋণের জন্য প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, এডিবির দেওয়া এ ঋণ তিনবছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৫ বছরে পরিশোধযোগ্য । এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ২৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। যার মধ্যে ২৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা এবং ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার অনুদান সহায়তা রয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে এডিবি ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পলিসি সাপোর্ট, কোভিড-১৯ রেসপন্স এমার্জেন্সি এসিসটেন্স শীর্ষক প্রকল্পে ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা এবং কোভিড মোকাবিলায় ৯ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানি সম্পদ, সুশাসন, ফাইন্যান্স এবং প্রাইভেট সেক্টরকে প্রাধান্য দেয় বাংলাদেশ সরকার।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম