Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অনলাইন কেনাকাটা আর অনলাইনে শিক্ষা এক না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ১৭:৪১

ঢাকা: অনলাইনে কেনাকাটা করা আর অনলাইনে শিক্ষাদানকে একই বিষয় হিসেবে মিলিয়ে ফেলা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, অনলাইন এডুকেশন কেবল সংকট উত্তরণের জন্য চলতে পারে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়। অনলাইন এডুকেশন কখনো হাতে-কলমে শিক্ষা এবং মানুষের সম্পৃক্ততার বিকল্প মাধ্যম হতে পারে না।

‘টার্নিটিন ভার্চুয়াল কনক্লেভ: লিভারেজিং টেকনোলজি ফর এনহ্যান্সিং এডুকেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্যানেল বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অধ্যাপক ড. আলমগীর অংশ নেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দেশের অনলাইন শিক্ষা নিয়ে তিনি এ অভিমত তুলে ধরেন।

সম্মেলনে টার্নিটিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস ক্যারেন স্বাগত বক্তব্য দেন। সভায় ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আগ্রহীরা অংশ নেন।

সভায় সরাসরি পাঠদানের গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, শিক্ষার সঙ্গে মানবিক গুণাবলি গুরুত্বপূর্ণ। দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো খুবই জরুরি। সরাসরি পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানবীয় গুণাবলি অর্জন করে থাকে। এসব কারণেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়, শুধু পাঠ্যবই পড়ার জন্য নয়।

তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে নানা ধরনের শিক্ষার্থীরা থাকে। তাদের সমস্যাও ভিন্ন রকম। সরাসরি পাঠদানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। শিক্ষার্থীদের এসব মানবিক সমস্যা অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব নয়।

সংকটকালে অনলাইন শিক্ষাকে কার্যকর করতে ইউজিসি’র এ সদস্য বলেন, নানা রকম সংকট ও সীমাবদ্ধতা থাকার পরও একে কার্যকর ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। অনলাইন শিক্ষা কেবল পাঠদান সর্বস্ব না হয়ে একে অংশগ্রহণমূলক ভার্চুয়াল ক্লাসরুম করতে হবে। অনলাইনে পাঠদানের চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ব্লেন্ডেড লার্নিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। অনলাইনে পাঠদানে শিক্ষকদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং উদ্ভাবন শক্তি বাড়ানোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর বলেন,  আধুনিক প্রযুক্তি গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি রোধে অ্যান্টি-প্লেজারিজম সফটওয়্যার ‘টার্নিটিন’ অনবদ্য ভূমিকা রাখছে। বাংলা গবেষণাপত্র ও পুস্তক ইত্যাদির জন্য ‘টার্নিটিন’র আদলে বাংলা ভাষায় উন্নত একটি সফটওয়ার তৈরির আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সফটওয়্যার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের গুণগত মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

অনলাইন শিক্ষা ইউজিসি সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর