অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৪ জুলাই
২৪ জুন ২০২১ ১৮:৪২
ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালত সূত্র এ তথ্য জানা যায়। গত ৮ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেই করোনা প্রার্দুভাবের কারণে তা বন্ধ ছিল। বর্তমানে আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমও