Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোভিডের ধাক্কা সামলাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে: বিশ্বব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ২২:৩৬

ঢাকা: অর্থনীতিকে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করতে এবং রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চাইলে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্টানটি বলছে, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণ করে শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনটি স্তম্ভ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। এগুলো হলো— পরিচালক ও শ্রমিকদের দক্ষতা, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযোগ এবং পরিপূরক বাজার ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংযোগ। এছাড়া নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক অনুশীলন গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোভিড -১৯ সংকট থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে বলেও অভিমত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের ‘গিয়ারিং আপ ফর দ্য ফিউচার অব ম্যানুফ্যাকচারিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এক ওয়েবিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, আরও বেশি এবং আরও ভালো চাকরির সৃজন বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রাধিকার। বাংলাদেশ রফতানিতে এগিয়ে। এখানকার উৎপাদন খাত উন্নততর প্রযুক্তি গ্রহণ করে টেকসই ও ভালো বেতনের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ যখন রফতানিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং আরও ভালো বেতনের কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা করছে, তখন  প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়ানোর উন্নয়নের বিকল্প নেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখনো একদম প্রাথমিক পর্যায়ের বা তার কাছাকাছি ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠান এখনো ব্যবসায় প্রশাসনের জন্য হাতে লেখা নথিপত্র ব্যবহার করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য পরিচালনামূলক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় অর্ধেক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কলেজ ডিগ্রিবিহীন লোকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কলেজ-শিক্ষিত পরিচালকদের সঙ্গে ১০ শতাংশ উচ্চতর প্রযুক্তির প্রযুক্তি রয়েছে। ফলে মানবসম্পদ গড়ে তোলা বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের সাফল্য প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতেও ভূমিকা রেখেছে এই খাত। তবে অটোমেশনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই খাতে চাকরির সুযোগ কমে গেছে। মহামারি পরবর্তী মহাবিশ্বে এই প্রবণতা আরও ত্বরান্বিত হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তোরাদের নিম্ন শ্রম-নিবিড় উৎপাদনশীলতার প্রতিযোগিতা থেকে উচ্চ উৎপাদনশীলতার প্রতিযোগিতায় নেওয়া জরুরি। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসায়িক কাজ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আরও উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর