Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শয্যা বাড়িয়েও হিমশিম খাচ্ছে বগুড়ার কোভিড হাসপাতালগুলো

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুন ২০২১ ১৩:৩৫

বগুড়া: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বগুড়াতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২৪ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ৪১ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে জেলার ৩ হাসপাতালে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে নতুন করে রোগী ভর্তির পরিস্থিতি নেই। ভর্তি থাকা রোগীদের কেউ সুস্থ হয়ে ছাড়া পেলেই কেবল অন্য কাউকে শয্যা দেওয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বগুড়ার কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। চাপ সামলাতে অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি আপাতত বন্ধ রাখছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

বিজ্ঞাপন

বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে জানিয়েছেন, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২৪ জনের। সংক্রমণের হার ৪১ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া সদর ও আদমদিঘী উপজেলায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি বগুড়া, তিন জনের বাড়ি জয়পুরহাট আর একজন নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। এছাড়া জেলার তিনটি হাসপাতালে বর্তমানে করোনা সংক্রমিত ৩৩২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের বড় একটি অংশই জয়পুরহাট, নওগাঁ ও নাটোর জেলার অধিবাসী।

এদিকে, বগুড়ায় করোনা ডেডিকেটেড মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের নির্ধারিত শয্যা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার সকালে আরও ২০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটেও কোনো শয্যা খালি নেই।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, আগের দিন কয়েকটি বেড খালি হয়েছিল। নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় করোনা ইউনিটের সব শয্যা আবার পূর্ণ হয়ে গেছে। এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, রোগীর চাপের কারণে আরও ২০টি শয্যা বাড়িয়ে ১৮০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্ত রোগী বাড়ছেই। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৬৭ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন ২৫/৩০ জনেরও বেশি নতুন রোগী আসছে। হাসপাতালের অন্য রোগী ভর্তি এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো আরও কয়েকটি শয্যা বাড়ানো যাবে।

এদিকে, বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে করেনা ইউনিটে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭৭ জন।

সারাবাংলা/টিআর

কোভিড হাসপাতাল টপ নিউজ বগুড়া মেডিকেল কলেজ মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর