Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তারা— দাবি উপাচার্যের!

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ১৯:৩৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন খোদ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। তিনি বলছেন, ফাইন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট না করার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে হুমকিও দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় রাবি প্রশাসন নগর পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলেও এসময় জানান অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। আর এই পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পেছনে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৮ জনকে দায়ী করা হয়েছে অভিযোগে।

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ড. সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ মে নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দ্বন্দ্ব এখনো শেষ হয়নি। গত ৩১ মে উপউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ আমরা কয়েকজন বৈঠক করছিলাম। যারা কথিত চাকরি পেয়েছেন, তারা আমার বাসভবনের গেট উপড়ে ফেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও অপ্রত্যাশিতভাবে অনুমতি ছাড়াই ৫০-৬০ জন ঘরে ঢুকে পড়েন এবং সভা পণ্ড করে দেন। আমি ভেতরে ছিলাম। দেখি আমার সন্তান ও স্ত্রী কাঁদছেন। তারা ভয় পেয়েছেন। বাসভবনে নিরাপদ মনে করছি না, কখন কী হয়ে যায়!

তিনি আরও বলেন, আমার সহকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন। এমনকি উপউপাচার্য নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। ফাইন্যান্স কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট যেন না হয় সে কারণে আন্দোলনকারীরা কোষাধ্যক্ষ, উপউপাচার্যকে হুমকি দিচ্ছেন। ১০/১৫ জন গিয়ে কোষাধ্যক্ষকে হুমকি দিয়ে আসছেন।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে— এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে রাবি উপাচার্য পদে রুটিন দায়িত্বে থাকা ড. সাহা বলেন, আন্দোলনকারীদের আমরা আগেই জানিয়েছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া আমার কিছু করা সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা না আসে, তাহলে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের কিছু করার ক্ষমতা নেই।

সারাবাংলা/টিআর

নিরাপত্তাহীনতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাবি উপাচার্য

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর