একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ মৃত্যুর রেকর্ড
২৫ জুন ২০২১ ১৮:০২
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ১০৮ জন, যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে ১৮ এপ্রিল ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শুক্রবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে ১০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।
এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও নারী ৩৩ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগী মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৯৫ জন ও নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৮১ জনের। আক্রান্ত বিবেচনায় পুরুষ রোগী মৃত্যুর হার ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ, নারী রোগীর মৃত্যুর হার ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য সারাদেশে পরীক্ষাগার ছিল ৫৫৪টি। এর মধ্যে আরটি পিসিআর ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৪৬টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৩৮২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ করা নমুনার সংখ্যা ২৮ হাজার ২৪৭টি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৬৫৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ১১৯টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ লাখ ১৭ হাজার ১৮৩টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৬টি।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৬৯ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জন।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। যা করোনায় দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের মৃত্যু হলো।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৬।
বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রয়েছেন একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৫৮ জন।
বিভাগওয়ারী ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২৫ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, রাজশাহীতে ১৬ জন, খুলনায় ২৭ জন, সিলেটে তিনজন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন চারজন।
সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৩ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪ জন। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে মারা গেছেন ১১ জন।
করোনাভাইরাস বিষয়ক বুলেটিনে বলা হয়, আপাতত ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৬০৭ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩২ হাজার ৬৮৮ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২৬ জন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৬৮ জন।
এ ছাড়া ২১ জুন থেকে এ পর্যন্ত ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৪০ জন। এখন পর্যন্ত কাউকে ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/এসএসএ/একে